
২৩ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে তুরস্কের ইস্তানবুলে ৬.২ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। স্থানীয় সময় দুপুর ১২:৪৯ মিনিটে মারমারা সাগরে, ইস্তানবুলের দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল। কম্পনটি প্রায় ১৩ সেকেন্ড স্থায়ী হয় এবং ইস্তানবুলসহ তেকিরদাগ, ইয়ালোভা, বুরসা ও ইজমির প্রদেশে অনুভূত হয়।
আহত ব্যক্তির সংখ্যা
ভূমিকম্পের ফলে আতঙ্কিত হয়ে ভবন থেকে দ্রুত বের হওয়ার সময় ২১৩ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৫১ জন ইস্তানবুলে, ২৬ জন তেকিরদাগে, ২৩ জন সাকারিয়ায়, ১১ জন বুরসায় এবং ২ জন ইয়ালোভায়। ইস্তানবুলের ফাতিহ জেলায় একটি পরিত্যক্ত তিনতলা ভবন ধসে পড়ে, তবে কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
ক্ষতি ও প্রতিক্রিয়া
ভূমিকম্পের পর ৫০টিরও বেশি আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালীটি ছিল ৫.৯ মাত্রার। ইস্তানবুলের বিভিন্ন স্থানে মোবাইল নেটওয়ার্কে বিঘ্ন ঘটে এবং কিছু ভবনে ফাটল দেখা যায়।
তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (AFAD) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর ৩,৫৯৭ জন কর্মী, ২৫০টি যানবাহন এবং ১৮টি উদ্ধারকারী কুকুর মোতায়েন করা হয়েছে। ইস্তানবুলের স্কুলগুলো দুই দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ভূমিকম্পটি ইস্তানবুলের ভূমিকম্পপ্রবণতা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সিসমোলজিস্ট নাজি গোরুর সতর্ক করেছেন যে, এই কম্পনগুলি উত্তর আনাতোলিয়ান ফল্ট লাইনে চাপ বৃদ্ধি করেছে, যা ভবিষ্যতে আরও বড় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা তৈরি করছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং দুর্যোগ প্রস্তুতির গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।
তুরস্ক ভূমিকম্পপ্রবণ একটি দেশ, এবং বিশেষজ্ঞরা পূর্বাভাস দিয়েছেন যে, ২০৩০ সালের মধ্যে ইস্তানবুলে ৭.০ বা তার বেশি মাত্রার একটি বড় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে।